ঈদগড় প্রতিনিধি :: কক্সবাজারের রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের বড়বিল গ্রামে গলাই ফাঁস লাগিয়ে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। তবে নিহত শাকিলা আক্তারের স্বজনেরা দাবী করছেন শাশুড়বাড়ীর লোকজন তাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছেন।
নিহত গৃহবধূর নাম শাকিলা আক্তার (২০), সে ঈদগাঁও ইউনিয়নের পুর্ব বোয়ালখালী গ্রামের নুরুল হুদার মেয়ে। বিগত ৬/৭ মাস পুর্বে ঈদগড় ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বড়বিল গ্রামের সাহাব মিয়ার পুত্র এখেলাচুর রহমানের সাথে তার বিয়ে হয়।
জানা যায়, শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকাল ৯ টার দিকে শাকিলা আক্তারকে বাড়ীর পাশ্বে গোয়ালঘরের চালের কাঠের ভীমের সাথে ওড়না পেছানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান প্রতিবেশী মনুজা বেগম। তিনি হাউমাউ করে উঠলে লোকজন এগিয়ে এসে শাকিলা আক্তার কে নামিয়ে ঈদগড় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে তার লাশ পুণরায় শাশুড়বাড়ীতে নিয়ে যাওয়া হয়।
নিহত শাকিলা আক্তারের দেবর সেলিম জানান, আমাদের পাশ্বের বাড়ীর মনুজা বেগম নামের এক মহিলা প্রথমে গোয়ালঘরের ভিতর ভাবীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। আমার মা ছোট বোন সহ সকলে ভাবীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ঈদগড় ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার কামরুল আমিন দৈনিক কক্সবাজারকে জানান, আমি সরজমিনে গিয়ে দেখে মনে হয়েছে নিহত মহিলা আত্মহত্যা করেছে।
এ দিকে নিহত শাকিলা আক্তারের স্বজনেরা দাবী করছেন, নিহত শাকিলা আক্তার ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। আত্মহত্যা নয় শাকিলাকে হত্যা করা হয়েছে।
শাকিলার পিতা নুরুল হুদা দাবী করছেন, আমার মেয়ে কে শাশুড়বাড়ীর লোকজন হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। তিনি মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
খবর পেয়ে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ ওসির নির্দেশে ঈদগড় পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই জাফর উল্লাহ নেতৃত্বে পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ হাসপাতালের মর্গে আছে জানিয়ে এ আই জাফর উল্লাহ দৈনিক কক্সবাজার কে জানান, এটি হত্যা না কি আত্মহত্যা সেটা নির্ণয় করা যাবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে আসলে। তখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। শাকিলা আক্তারের মৃত্যুতে তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
পাঠকের মতামত: